Nid Service - Nid BD

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার সঠিক নিয়ম।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড কি ভাবে করবো!

অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম জেনে নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে চাইলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড, যদি আপনি নতুন ভোটার নিবন্ধিত হয়ে থাকেন এবং ভোটার রেজিস্ট্রেশন করতে না পারেন অর্থাৎ ফরম নম্বর বা জন্ম তারিখ ভুল বলে থাকে তাহলে এই নিয়মটি আপনার জন্য।

নিজে নিজে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য ভিজিট করুন https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই ওয়েবসাইটে। প্রথম ইনপুট ফিল্ডে ফরম নাম্বার অথবা আইডি কার্ডের নাম্বার লিখে, জন্ম তারিখের ঘরে জন্মতারিখ (দিন, মাস, বছর) বসিয়ে “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করুন।

ভোটার নিবন্ধন স্লিপ এর ছবি এই রকম হয়।

NID Wallet App link

সবশেষে NID Wallet App এর মাধ্যমে ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার ড্যাশবোর্ড ওপেন হবে। একাউন্টে ড্যাশবোর্ড এর নিচের দিকে ডাউনলোড অপশন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম

নিজে নিজে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য সরকারি ওয়েবসাইট https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/claim-account নিবন্ধন পেজে ভিজিট করে জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার/ফরম নাম্বার, জন্ম তারিখ, সিকিউরিটি ক্যাপচা ও ফেইস ভেরিফিকেশন করে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর প্রোফাইলে লগইন করে ড্যাশবোর্ডের “ডাউনলোড” অপশন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড অপশনে পৌঁছানোর আগে কয়টি ধাপ অতিক্রম করতে হবে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ধাপ গুলো হচ্ছে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন, ঠিকানা যাচাই, মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন, ফেস ভেরিফিকেশন।

ধাপ ১: Nid Service ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।

এনআইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড এর জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের Nidw অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। কেননা ভোটার নিবন্ধনের সকল তথ্যগুলো Nidw ওয়েব সাইটে সংরক্ষণ করা হয়। Nidw ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ এই লিংকে ক্লিক করুন।

ধাপ ২: Nid Service একাউন্ট রেজিস্টার করুন।

Nidw ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে একাউন্ট রেজিস্টার করার জন্য প্রথমে “রেজিস্টার একাউন্ট” বাটনে ক্লিক করুন। এরপরে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার বসিয়ে দিয়ে, জাতীয় পরিচয় পত্র ও ফরম নাম্বার টি এবং জন্ম তারিখ বসিয়ে দিন।

যদি জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার না জানা থাকে বা নতুন নিবন্ধন হয়েছেন এখন পর্যন্ত আইডি কার্ড হাতে পাননি তাহলে নিবন্ধনের সময় দেওয়া স্লিপ নাম্বারটি প্রদান করুন। ভোটার স্লিপ নাম্বার দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ৮/৯ সংখ্যার ভোটার স্লিপের পূর্বে NIDFN যোগ করে নিতে হবে। যেমন আপনার ভোটার স্লিপ নাম্বার যদি হয় 123456789 , তাহলে আপনাকে টাইপ করতে হবে NIDFN123456789 ও ভোটার নিবন্ধনে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জন্ম তারিখ বসিয়ে দিন।

এই তথ্যগুলো যথাক্রমে প্রদান করে নিচে থাকা ক্যাপচা কোডটি পূরণ করে “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করুন। যদি Nidw ওয়েবসাইটে পূর্বে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করা থাকে তাহলে জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার অথবা ইউজারনেইম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিবেন।

ধাপ ৩: Nid Service ঠিকানা দিন এই ধাপে।

যথাক্রমে এনআইডি কার্ডে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করুন। এখানে জেলা, উপজেলা, বিভাগ বসিয়ে দিতে হবে। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা বসিয়ে “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৪: Nid Service মোবাইল ভেরিফিকেশন এই ধাপে।

ঠিকানা প্রদান করার পরে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন পেইজে নিয়ে আসা হবে। এখানে অটোমেটিক ভাবে ভোটার নিবন্ধনের সময় দেওয়া মোবাইল নাম্বারটি চলে আসবে। যদি মোবাইল নাম্বার না আসে তাহলে একটি নতুন সচল মোবাইল নাম্বার বসিয়ে দিন।

ধাপ ৫: Nid Service NID Wallet App ডাউনলোড এই ধাপে।

সবশেষে NID Wallet App এর মাধ্যমে ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার ড্যাশবোর্ড ওপেন হবে। একাউন্টে ড্যাশবোর্ড এর নিচের দিকে ডাউনলোড অপশন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন। মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করার পরে একটি নূতন পেজ ওপেন হবে এখানে একটি QR কোড আসবে।

Google Play Store থেকে Nid Wallet অ্যাপ আপনার মোবাইলে ইন্সটল করে নিতে হবে। অ্যাপ ইন্সটল হয়ে গেলে তা ওপেন করতে হবে। তারপর কেমেরা চালু করার পারমিশন চাইবে, সব কিছু ঠিক করে সফটওয়্যার চালু হলে, QR Code স্কেন করার জন্য কেমেরা চালু হবে। ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত QR Code মোবাইল দিয়ে nid wallet app দিয়ে স্কেন করে ফেস ভেরিফিকেশন করতে হবে।

ধাপ ৬: Nid Service ফেইস ভেরিফিকেশন এই ধাপে।

Face Verification করার সময় ব্যক্তির চোখের পলক এবং মাথা ডানে-বামে নাড়াতে হয়। ব্যক্তিকে সনাক্ত হয়ে গেলে অনলাইন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার জন্য আনুমোদন দেয়া হয়। Face verify এর মধ্য দিয়ে সফল ভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র ওয়েবসাইটে আপনার একাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে, আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি ডাউনলোড করার জন্য প্রস্তুত।

ধাপ ৭: Nid Service ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড এই ধাপে।

সঠিকভাবে পাসওয়ার্ড সেট করা হলে অটোমেটিক nidw ওয়েবসাইটে লগইন হয়ে যাবে। এরপরে প্রোফাইল অপশনে প্রবেশ করে একটু নিচে লক্ষ্য করুন “ডাউনলোড” নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন।

ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করার পরে আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি ডিভাইসে পিডিএফ ফাইল হিসেবে ডাউনলোড হবে।পরবর্তীতে এটিকে প্রিন্ট করে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এই আইডি কার্ড দ্বারা যাবতীয় নাগরিক সেবা উপভোগ করতে পারবেন।

Nid Service ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড সম্পর্কিত প্রশ্নসমূহ FAQ

ভোটার আইডি কার্ড নম্বর কারো ১৩ আবার কারো ১৭ কেন?
২০০৮ এর পরে যত আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হচ্ছে বা পুণঃ তৈরি হচ্ছে সে সকল কার্ডের নম্বর ১৭ ডিজিট হয়ে থাকে।

নতুন ভোটার আইডি কার্ড কবে দিবে ২০২৩?
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ২০২৩ সালে নিবন্ধন হওয়া নতুন ভোটারদের স্মার্ট কার্ড বিতরণ করবে শীঘ্রই।

হারানো ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে ডাউনলোড করব?
ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে কিভাবে নষ্ট হয়ে গেলে উপজেলা নির্বাচন কমিশন অথবা অনলাইনে রিইস্যু আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে ফি প্রদান করতে হবে।

আমার ID Card ছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার?
এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে।

Home Nid Service
Category https://www.nid-service.com/category/nid-service/
5/5 - (2 votes)

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button